আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক ঋতেশ কালরার বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ—অবৈধভাবে মাদক ওষুধ বিলি, স্বাস্থ্যবিমা প্রতারণা এবং ওষুধের বিনিময়ে রোগীদের কাছে যৌন সুবিধা চাওয়া। ৫১ বছর বয়সি ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পাঁচটি ফেডারাল মামলা রুজু হয়েছে।
নিউ জার্সির সেককস শহরের বাসিন্দা কালরা একজন অভ্যন্তরীণ চিকিৎসক (ইন্টারনিস্ট)। তিনি ‘ফেয়ার লন’ এলাকার একটি ক্লিনিকে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের জন্য অপ্রয়োজনীয় ও বিপজ্জনক মাত্রায় শক্তিশালী ওষুধ, যেমন 'oxycodone', প্রেসক্রাইব করতেন বলে অভিযোগ। মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ৩১ হাজারেরও বেশি ওষুধের প্রেসক্রিপশন দেন, কোনও বৈধ চিকিৎসা প্রয়োজনে নয়, বরং আসক্ত রোগীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে।
প্রাক্তন কর্মচারী ও একাধিক মহিলা রোগী জানিয়েছেন, ঋতেশ কালরা একাধিকবার তাঁদের কাছে মৌখিক ও অন্য যৌন সম্পর্কের বিনিময়ে প্রেসক্রিপশন দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এক মহিলার অভিযোগ, চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে তাঁকে বারবার যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে। এমনকি একাধিকবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হয় বলেও দাবি তাঁর।
মার্কিন প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, চিকিৎসার আড়ালে কালরা পরিচালনা করছিলেন একটি 'pill mill'—অর্থাৎ এমন একটি অবৈধ ব্যবস্থা, যেখানে রোগীদের কাছ থেকে টাকা বা অন্য সুবিধা নিয়ে অবাধে প্রেসক্রিপশন মাদক সরবরাহ করা হত। প্রসিকিউটর আলিনা হাব্বা বলেন, “চিকিৎসকরা মানুষের পাশে থাকার জন্য, সুস্থ করে তোলার জন্য কাজ করেন। কিন্তু কালরা তাঁর পদের অপব্যবহার করেছেন। রোগীদের উপর যৌন অত্যাচার চালিয়েছেন, এবং তাঁদের আসক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন নিজের স্বার্থে।”
ঋতেশ কালরার বিরুদ্ধে নিউ জার্সি মেডিকেড প্রকল্পের প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, একাধিক ‘ঘোস্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট’-এর জন্য তিনি বিল করেছেন—অর্থাৎ রোগী আসেননি, অথচ দেখানোর নামে বিল করেছেন। ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ডেও জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। এমনকি এক বন্দি রোগীর নামেও নিয়মিত ওষুধ লিখে চলেছেন কালরা, যাঁর সঙ্গে তাঁর কোনও সরাসরি যোগাযোগ হয়নি বলেই দাবি তদন্তকারীদের।
সম্প্রতি আমেরিকার একটি আদালতে পেশ করা হয় কালরাকে। ম্যাজিস্ট্রেট জাজ আন্দ্রে এম এস্পিনোসার এজলাসে তাঁর জামিন মঞ্জুর হলেও তাঁকে গৃহবন্দি অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১ লক্ষ ডলারের 'unsecured bond'-এ জামিন পেয়েছেন তিনি। তাঁর চিকিৎসা-অনুশীলন ও ওষুধ প্রেসক্রিপশনের অধিকার স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর ক্লিনিকও বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিটি অবৈধ ওষুধ বিতরণের মামলায় ২০ বছর পর্যন্ত জেল এবং এক মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। প্রতিটি স্বাস্থ্যবিমা প্রতারণার মামলায় ১০ বছর জেল এবং ২.৫ লক্ষ ডলার পর্যন্ত জরিমানা ধার্য হতে পারে। এফবিআই-এর স্পেশাল এজেন্ট স্টেফানি রড্ডি বলেছেন, “রোগীরা চিকিৎসকদের কাছে যান সুস্থতার আশায়। কিন্তু কালরা রোগীদের ব্যবহার করেছেন তাঁর নিজের যৌন সন্তুষ্টির জন্য।”
নিউ জার্সির সেককস শহরের বাসিন্দা কালরা একজন অভ্যন্তরীণ চিকিৎসক (ইন্টারনিস্ট)। তিনি ‘ফেয়ার লন’ এলাকার একটি ক্লিনিকে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের জন্য অপ্রয়োজনীয় ও বিপজ্জনক মাত্রায় শক্তিশালী ওষুধ, যেমন 'oxycodone', প্রেসক্রাইব করতেন বলে অভিযোগ। মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ৩১ হাজারেরও বেশি ওষুধের প্রেসক্রিপশন দেন, কোনও বৈধ চিকিৎসা প্রয়োজনে নয়, বরং আসক্ত রোগীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে।
প্রাক্তন কর্মচারী ও একাধিক মহিলা রোগী জানিয়েছেন, ঋতেশ কালরা একাধিকবার তাঁদের কাছে মৌখিক ও অন্য যৌন সম্পর্কের বিনিময়ে প্রেসক্রিপশন দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এক মহিলার অভিযোগ, চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে তাঁকে বারবার যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে। এমনকি একাধিকবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হয় বলেও দাবি তাঁর।
মার্কিন প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, চিকিৎসার আড়ালে কালরা পরিচালনা করছিলেন একটি 'pill mill'—অর্থাৎ এমন একটি অবৈধ ব্যবস্থা, যেখানে রোগীদের কাছ থেকে টাকা বা অন্য সুবিধা নিয়ে অবাধে প্রেসক্রিপশন মাদক সরবরাহ করা হত। প্রসিকিউটর আলিনা হাব্বা বলেন, “চিকিৎসকরা মানুষের পাশে থাকার জন্য, সুস্থ করে তোলার জন্য কাজ করেন। কিন্তু কালরা তাঁর পদের অপব্যবহার করেছেন। রোগীদের উপর যৌন অত্যাচার চালিয়েছেন, এবং তাঁদের আসক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন নিজের স্বার্থে।”
ঋতেশ কালরার বিরুদ্ধে নিউ জার্সি মেডিকেড প্রকল্পের প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, একাধিক ‘ঘোস্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট’-এর জন্য তিনি বিল করেছেন—অর্থাৎ রোগী আসেননি, অথচ দেখানোর নামে বিল করেছেন। ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ডেও জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। এমনকি এক বন্দি রোগীর নামেও নিয়মিত ওষুধ লিখে চলেছেন কালরা, যাঁর সঙ্গে তাঁর কোনও সরাসরি যোগাযোগ হয়নি বলেই দাবি তদন্তকারীদের।
সম্প্রতি আমেরিকার একটি আদালতে পেশ করা হয় কালরাকে। ম্যাজিস্ট্রেট জাজ আন্দ্রে এম এস্পিনোসার এজলাসে তাঁর জামিন মঞ্জুর হলেও তাঁকে গৃহবন্দি অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১ লক্ষ ডলারের 'unsecured bond'-এ জামিন পেয়েছেন তিনি। তাঁর চিকিৎসা-অনুশীলন ও ওষুধ প্রেসক্রিপশনের অধিকার স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর ক্লিনিকও বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিটি অবৈধ ওষুধ বিতরণের মামলায় ২০ বছর পর্যন্ত জেল এবং এক মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। প্রতিটি স্বাস্থ্যবিমা প্রতারণার মামলায় ১০ বছর জেল এবং ২.৫ লক্ষ ডলার পর্যন্ত জরিমানা ধার্য হতে পারে। এফবিআই-এর স্পেশাল এজেন্ট স্টেফানি রড্ডি বলেছেন, “রোগীরা চিকিৎসকদের কাছে যান সুস্থতার আশায়। কিন্তু কালরা রোগীদের ব্যবহার করেছেন তাঁর নিজের যৌন সন্তুষ্টির জন্য।”